১৯১৯ সালে ১২ বছরের রিফকা নেব্রোত এর প্রায় দুই বছর ধরে রাশিয়ার প্রান্ত গ্রাম থেকে আমেরিকায় আসার অভিজ্ঞতা - একশো বছর পরে আজও ভীষণ প্রাসঙ্গিক।
২০২৫ সংস্করনের ভূমিকা
রিফকার চিঠি ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয় – আমার কাছে কয়েকটি ছাড়া শেষও হয়ে যায় – এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রত্যেকেই জীবন যাত্রায় ব্যাস্ত হয়ে পড়ি। রিফকার যে রাশিয়া থেকে আমেরিকা যাত্রা – যাকে আজকের ভাষায় “ইমিগ্রেশন” বলা হয়ে থাকে – তার আর্তি গুলো কেমন যেন ক্লিশে হয়ে যায়। কিন্তু গত কয়েক বছরের রাজনৈতিক পালা বদল এবং পরিবর্তন সম্ভবত আবার এই স্মৃতি গুলিকে প্রাসঙ্গিক করে দিয়েছে – ইমিগ্রেশন কঠিন, রূঢ় এবং বাস্তব – ইমিগ্রেশন মূল্য প্রজন্মকে চোকাতে হয় – পরবর্তী প্রজন্মের জন্য – এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিরুপায় হয়ে। ১৯১৯ সালে ১২ বছরের রিফকা নেব্রোত এর প্রায় দুই বছর ধরে রাশিয়ার প্রান্ত গ্রাম থেকে আমেরিকায় আসার অভিজ্ঞতা তাই মনে হয় একশো বছর পরে ভীষণ প্রাসঙ্গিক। ২০ বছর পরের এই সংস্করনে নতুন যোগ ছবি – রিফকার চিঠিকে পরম যত্নে সাজিয়ে দিয়েছেন লন্ডন প্রবাসী ভগিনীসমা মৌমিতা সরকার।
২০০৫ এর ভূমিকা
রিফ্যুজি পরিবারের ছেলে – আমেরিকায় এসে অনেক কিছুই দেখি – অবাক লাগে শ্রদ্ধা হয় – মজাও লাগে। অফিসে একজন কলিগ ছিলেন ইহুদী – তাঁর সঙ্গে কথা বলে দেখেছিলাম অনেক কিছুতেই মিল আছে – মূলত চিন্তা ভাবনায়। তখন থেকেই একটা আগ্রহ ছিল ইহুদীদের ওপরে – বিশেষত রাশিয়া থেকে আসা ইহুদীদের ব্যাপারে। ফিডলার অন্ দ্যা রুফ এর মতন সিনেমা এই আগ্রহকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। এই সময়ই ঝালাপালার সম্পাদক শ্রী অশোক কুমার মিত্রের আগ্রহে অনুবাদের জন্য কিশোর সাহিত্যের খোঁজ শুরু। হ্যারি পটারকে বাদ দিয়ে অ্যামাজনে এটাই বেস্ট সেলার – অতএব অনুবাদ শুরু। দুঃখের বিষয় সময় লাগল পুরো দেড় বছর – দোষ সম্পূর্ণ আমার। তবে যাই হোক – শেষ ভালো যার সব ভালো তার কয়েকজনের কথা উল্লেখ করা উচিৎ - ধন্য বাদ দিয়ে ছোট করব না – বাবা মা (মুকুল এবং কৃষ্ণা গুহ – যাঁদের উৎসাহ ছাড়া এ সম্ভন হত না) – বড়মামা অশোক কুমার মিত্র (যার মূল প্রেরণা ) – ভ্রাতৃবধূ নন্দিতা (ইংরেজি ইমেল থেকে প্রিন্ট )- এবং নীলাঞ্জনা (সহ ধর্মিনী এবং সহমর্মিনী – যাকে প্রতি মুহূর্তে আমার নানা অত্যাচার সহ্য করতে হয় ) – এই লেখা যে আজ বই হয়ে বেরোচ্ছে তার নেপথ্য নায়ক নায়িকা এঁরাই