পিতৃতর্পণ
চার কাহারে বয়ে নিয়ে যায় - একটি সময়
চার কাহারে বয়ে নিয়ে যায় - একটি সময়
একুশ আমার এক গালে টোল অন্য গালে চুমু
পলাশ দেখলেই আমার পা আঁটকে যায়
আমাকে তুমি অনেক দিয়েছো
যে নামেই ডাকো / আমি তাঁর গলার স্বর চিনি
গঙ্গা ভলগা আর হাডসন বেয়ে ভেসে যায় লখিন্দর ভেলা
এখনো পাতার রং সবুজ - এখনো হাওয়ার স্বাদ নীল
এই নাও যা চাও সমস্ত জন্মের সঞ্চয়
ঠিক ততটুকু সুখ পাবে যতটুকু চাও
ঠিক ততটুকু সুখ পাবে যতটুকু চাও
দুঃখ করার ধাত নেই আমার একটুও
তুমি অভিশাপ দাও / আমি মাথা পেতে নেব
জন্মলগ্নে লেগেছে দাগ
আমি বারবার তোর কাছেই ফিরে ফিরে আসি
সঙ্গে যারা ছিল তারাই জানে / পাথর কেটে রাস্তা গড়ার মানে
এখনো বৃষ্টি সেই আঙিনায় ঝরে ? / গোধূলির ট্রেন সিগন্যালে থেমে যায় ?
বরং খানিকটা দূরেই থেকো / বেশি কাছে এলে বড় মায়া পড়ে যায়
সমস্ত আদর শেষ হবে একদিন - সব আলিঙ্গন
বাজ পড়েছিল বুড়ো গাছটায় বহুদিন আগে
এই তো ছুঁলাম হাত ঠিক যেমন চেয়েছিলে
পিঠ সোজা করে বসতে বলতেন বাবা / মাথা উঁচু করে হাঁটতে
তুমি আমাকে পলাশ ফুল তুলে দিতে বললে
দুইহাত ভরে নিতে ই শিখেছি শুধু / দেবার মতন আমার কি আছে বলো ?
যত্ন করে আমার মতন করে তোমায় / সাজিয়ে নিতে চেয়েছিলাম
দিক আসলে একটাই - / শুধু দেখার ভূলে - ভুল ঠিকানা
ভুলে যেতে চাইলেই যখন খুশি / সব ভুলে যাওয়া যায়
দিলে সবটুকু দিও, সরিয়ে রেখো না কোনোকিছু
দুহাত পেতে বসে আছি / যেমন ছিলাম শৈশবকাল থেকে
তুমি জানতে না হৃদয়মূল্য কত / কত আধুলিতে বেচা কেনা হয় সুখ
সূর্য চায়নি একফোঁটা রোদ ফিরে / পাখিরা শুধুই বিলিয়েছে কুঞ্জন
যতদূর দুচোখ যায় - যাক
ঠিক সেসময় উড়িয়ে দিলাম হাওয়া
আমি যাকে চিনতাম / তার নাম
ঠিক সেসময় উড়িয়ে দিলাম হাওয়া
আমি যাকে চিনতাম / তার নাম
ফুটবল ম্যাচে হেরে গিয়ে/ ঠোঁট চেপে বাড়ি ফিরে মিথ্যে বলেছি বহুবার
তুমি হারিয়ে ফেললেও/আমি জমিয়ে রেখেছি চিঠি
তুমি তোমার মায়ের চোখের দিকে তাকাও
এই জলটি সেই নদীটির / চোখের জলের খবর জানে
তুমিই তো বলেছিলে ঈশ্বরীর কথা