এই নাও যা চাও সমস্ত জন্মের সঞ্চয় একটু একটু করে জমানো বাসের টিকিট সোঁদা গন্ধ টপকে দীনবন্ধু ব্লাইন্ড লেন ডান হাতে দক্ষিনেশ্বরী প্রেস ফেলে বাঁ দিকে উত্তাল মিছিলের স্রোত উষ্ণতা নাম ছিল একদিন তার আর বাতাসে ওড়ানো রূপকথা রঙিন ফানুস শহরের কবিগান হয়ে সন্ধ্যামালতীর মতো আমাদের সমস্ত শরীরে আমি তার হাত ধরে শুদ্ধ হয়ে পুণ্যতা বিসর্জন দিয়েছি চোয়াল শক্ত করে কান্না লুকিয়ে বেহুলার মাথায় পরিয়ে দিয়েছি লাল জবাফুল আর আলীর দোহাই বলছি অবিন্যস্ত শিশুটিকে দিয়ে দিয়েছি পূজার উপাচার একশো আট পদ্মের নীল নিবেদন আর তাই এখন এইসব খুদকুঁড়ো নিয়ে দেবার জন্য উপুড় করেছি দুইহাত উদগ্রীব হয়ে বসে আছি স্টেশনের ধারে