১. 
যে হাতে তুমি সন্তানকে স্পর্শ করো 
সেই হাতে আজ রক্ত লেগে আছে 

যে হাতে দেবতার ঘন্টা বাজালে বাল্য অভ্যাসে 
ভাল করে দেখ 
তাতে রক্তের ফোঁটা ফোঁটা দাগ 

এমনকি যে হাত রাখলে বন্ধুর কাঁধে 
তাতে লেগে বাসি হওয়া  রক্তের দাগ 

যে হাতে তিল তিল করে বানিয়েছো ভিটে মাটি বাড়ি 
দুবেলা করজোড়ে তিল ও তুলসী দাও পরম আহ্লাদে  
সেই হাতে আজ 
পুড়িয়ে এসেছো অন্য এক মানুষের ঘর, সন্তান এবং সংসার 

২. 
রাত্রি মধ্যযাম 
জানি তোমারো ঘুম ভেঙে যায় 
মনে পড়ে অচেনা শিশুটির থরো থরো মুখ 
নারী আর বৃদ্ধের অসহায় আর্ত চিৎকার 
আর তারপর রক্তের ফিনকি ফোয়ারা 

ভাল করে ভেবে দেখো কোথায় দাঁড়িয়ে আছো তুমি 
দুহাতে কতটা রক্ত 
কত ছাই পড়ে আছে বড় রাস্তায় 
এমনকি দেবতার কাছে দেখাবার মত মুখ 
আছে কি তোমার ?

আর কে তোমার পায়ের নিচ থেকে সরিয়েছে মাটি 
শেয়ালের মত ঠোঁট চেটে  
তোমার হাত দিয়ে করেছে শিকার 
তোমার বন্ধু তার সন্তান আর পরিবার 
অসহায় অবিশ্বাস অনুতাপ আর অভিশাপ

তোমাকে দিয়েছে ঠেলে অনন্ত রাত্রি জাগরণে 

৩.
রাত্রি মধ্যযাম 
পাশটিতে শুয়ে আছে সন্তান ও নারী 
স্পর্শ করো   অনুভব করো 
দেখো ঘ্রান পাবে তাহাদের যাদের পুড়িয়ে এসেছো ওই হাতে 
আলিঙ্গন করে নাও শরীরের ওম 
তোমার নির্ঘুম অভিশাপ সঁপে দাও 
তাঁহাদের অশ্রুজল তুলসী বিস্বাসে 
দেখ কত পাপ ধুতে পারে গঙ্গাজল বেহুলার ভেলা 

ডালাস