২০০৬-৭ সাল নাগাদ ভিন্নবাসর নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হত - সম্ভবত পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্যতম প্রথম ইন্টারনেট পত্রিকা। সদালাপী প্রলাপকথন সেই সময় লেখা। বই আকারেও প্রকাশিত হয় ২০০৮ নাগাদ।
এই লেখায় ছবি এঁকেছেন মৌমিতা সরকার

আত্মকথন

নিজের সম্পর্কে লেখা কঠিন ...

লেবু পাতায় করমচা

ফেটে যাওয়া জলের পাইপ আর অনাবিল বৃষ্টির জল মিলে মিশে একসাথে বয়ে চলেছে এক অচেনা লক্ষের দিকে।

এখানে সব এমনই হয়

এখানে সব এমনই হয় – যে যার মতো থাকে – যে যার মতো ভাবে

অমল, সূধা তোমাকে ভোলে নি ..

মনে রাখতে রাখতে উঠোন পেরিয়ে মাঠ ডিঙিয়ে একরত্তি সূধা একদিন বড়ো হয়ে গেল ...

পার্মানেন্ট অ্যাড্রেস

কাউকে দেখলেই মনে হয় সব বলে ফেলি – লুকিয়ে রাখা বাসের টিকিট – জমিয়ে রাখা আধখাওয়া সিগারেটের টুকরো – চোখের কোন দিয়ে ক্যান্টিনের দূরতম টেবিলের নীল সালোয়ার কামিজকে মেপে নেওয়া – আদেখলার মতো ফিল্ম উৎসবে বিদেশী ছবি দেখা ...

দেখা

বিকেলের পড়ন্ত আলো এসে পড়েছে চুলে – কাঁধ ছাড়িয়ে পিঠে শিশুর মতো হাসিমুখ একগাল রোদ্দুর … কপালে চিক চিক করছে ফোঁটা ফোঁটা ঘাম … মনে হয় রুমাল দিয়ে মুছে দিই … “কেমন আছিস বুনু?” ফিস ফিস করে শীতের হাওয়ার মত ওর কানে কানে …

তিস্তার গল্প

তিস্তা কাঁদছে ... দুপাড় ভাসিয়ে বিছানা ওলট পালট করে কাঁদছে –

তোমরা শিক্ষিত হও ...

পাপ জম্‌ছে রাস্তায় – হাতে পায়ে মাথায় যেমন ভোরবেলার শীত জমে থাকে – তেমন পাপ ..

তেপান্তরে একদিন ...

এই পথ তেপান্তরে যায় ... কেউ পৌছতে পারে – কেউ পারে না ... কাঁচের মতো স্বচ্ছ হাডসনের ভেতর দিয়ে ছুটে চলেছে এক ট্রেন মানুষ ... সাদা, কালো, খয়েরি রঙের মানুষ ... গায়ে গা ঘেসে পায়ে পা মাড়িয়ে মনে মন ঠেকিয়ে সকলের মধ্যে একদম একা একা অনেক মানুষ – ঘড়ির কাঁটা ধরে আকাশের দিকে উঠে যাওয়া এস্কেলেটরের প্রতিটি পাদানীতে ক্ষণজন্মা জীবনবোধ – সভ্যতার অহংকার।

লাইব্রেরী

কলকাতায় সন্ধ্যা নামে অনেক পরে – আমাদের এই মফঃস্বলে তার আগেই শীতের ভারী চাদর নেমে আসে।