পূরানো জানিয়া চেয়ো না ...

এলোমেলো ফ্ল্যাটবাড়িতে খসে পড়া পলেস্তারার গায়ে শস্তা আকাশী পোঁচ– পুরোন আসবাবে ধুলো ঝেড়ে – জানলা দরজা পরিষ্কার করে – পুরোন আল্‌নায় পাট করা পায়জামা পাঞ্জাবী – শাড়ি। বাথ্‌রুমে গিজার – সিঁড়ির আলো কেটে গিয়েছিল – মিস্তিরিকে খবর দিয়ে নতুন বাল্ব … নতুন দুপাটি চটি– ভালো করে কেচে টানটান বিছানা – তুলোর মত তুলতুলে বালিসের ওয়াড়্‌ - আজ মেয়ে বাড়ি আসছে আমেরিকা থেকে … চার বছর পর … চার চারটে বছর … কিভাবে যে কেটে গেল! ...

যদি প্রেম দিলে না প্রানে ...

তবে আর কি – আকাশ গানে ভরিয়ে দিয়ে অন্য পথে চলেই যাবো একা – সঙ্গে নেব কাগজ কলম –অন্যমনা বইপত্তর – নাম না লেখা বিধবা রঙের খাম নিরুদ্দেশ বৃষ্টিসুখের দিনে … যদি প্রেম দিলে না প্রানে … ল্যাপটপের স্ক্রিনে এইসব এলোমেলো লাইনগুলো নড়ে চড়ে … কথা বলে না … ঠিক যেমন চারপাশের মানুষগুলো - হাঁটে – পাশে এসে বসে – হাসে – কথা বলে না। দুঘন্টা লেট ফিনিক্স এয়ারপোর্টে এখন বিকেল সাড়ে পাঁচটা – রানওয়ের টেম্পারেচার ১২০ পেরিয়ে গেছে বলে সব প্লেন টেক অফ বন্ধ … অতএব অপেক্ষা … শুধুই অপেক্ষা … ...

অসূর্যম্পশ্যা

 এক পায়ে মধ্যে জড়িয়যায়পা জল জমেছে রাস্তা টলোমলো একটা দুটো পাপ করেছি আজ তোমার তাতে কি আসে যায বলো ? “নমষ্কার – হ্যাঁ হ্যাঁ আপনাকেই বলছি …” “আমাকে ? আপনাকে তো ঠিক …” বিশ্ময় …কেবল বিশ্ময় “কি করে চিনবেন … আপনি তো আমাকে দেখেনই নি। “ “তাহলে … ?” “না না – ওইসব ভাববেন না … আমি আপনাকে ছক করতে আসি নি … কিম্বা আপনার চোখে আকাশের তারাফারা কিচ্ছু দেখি নি … আমার আসলে আপনার সঙ্গে কিছু কথা আছে …” ...

হেথায় তু রে মানাইছে না রে ...

*** এক *** লোকের ঢল নেমেছে স্টেশনে – রোজ যেমন নামে তেমনই আর কি … জোড়ে কিম্বা বেজোড়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড় – গ্যালপিং পেলে শান্তি – দরজার ধারে একফালি হাওয়ায় গা লাগিয়ে মনটাকে বাইরে উড়িয়ে দেওয়া … না পেলে গজগজ – উল্টোপাল্টা চিন্তাগুলো বারবার এর ওর গায়ে এটা সেটা স্টেশনে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে … তবে মফঃস্বল বাংলার মন তো – অল্পেই খুশি – একটু পরে ফাঁক ফোঁকর খুজে মনখারাপ শহরের কাছে রেখে মেইন কিম্বা কর্ড লাইন ধরে ছুটে চলা ময়ূরাক্ষী ফাস্ট প্যাসেঞ্জারে – বিশ্বভারতী মিস করে আধঘন্টা বাদের এই ট্রেন – বর্ধমানে বিশ্বভারতী ধরিয়ে দেবে – মেইন আর কর্ড লাইনের কেরামতি … ...